Quick Query
News & Announcement
Webinar on 201st Birth Anniversary of Akhsyay Kumar Datta
আজ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনী সমিতির পক্ষে, ঊনিশ শতকের বাঙালি মনীষী অক্ষয় কুমার দত্তের ২০১ তম জন্মবর্ষ স্মরণে, একটি ওয়েবিনার আয়োজিত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা, দেশের নানান রাজ্য ও বিদেশে বসবাসকারী প্রাক্তনীরা অনেকেই অংশ নিয়েছেন। প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ড: তাপস চট্টোপাধ্যায়। আলোচনায় অংশ নিয়েছেন কলকাতা থেকে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ড: মলয় শন্কর ভট্টাচার্য এবং শিলিগুড়ি থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মন্চের রাজ্য নেতা ড: গোপাল দে। সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। এরপরে প্রশ্ন উত্তর ও মত বিনিময়ের পর্বে উপস্থিত অনেকেই অংশ নিয়েছেন। অক্ষয় কুমার দত্ত ছিলেন ঊনিশ শতকের মধ্যভাগে বাংলায় ও ভারতে বিজ্ঞান চেতনা, যুক্তিবাদ, শাস্ত্রাচার - অন্ধবিশ্বাস - সাম্প্রদায়িকতা এবং উগ্র ধর্মাচরণের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রামী শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, বিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবী। বাংলাভাষায় বিজ্ঞান চর্চার জন্য তিনি ভূগোল, পদার্থবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিদ্যা, জ্যোতির্বিজ্ঞান, ভূতত্ব, ভাষাতত্ত্ব, পুরাতত্ত্ব, নৃবিজ্ঞান ও অন্য অনেক আধুনিক মনস্কতার বিষয়ে পুস্তক রচনা করেছেন এবং সেই সময়ের সংবাদপত্র ও পত্র পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখে শিক্ষিত সমাজে আধুনিক বস্তুবাদী ও বিজ্ঞানবদ্ধ মানবিক দৃষ্টিকোণের প্রতি প্রবল আগ্রহ ও অনুসন্ধিৎসার আলোড়ন তুলেছিলেন। চারুপাঠ (৩খন্ড), ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায় ( ২ খন্ড), বাহ্যবস্তুর সহিত মানবপ্রকৃতির সম্বন্ধবিচার, ধর্মনীতি, বাষ্পীয় রথারোহীদের প্রতি উপদেশ চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তত্ববোধিনী পত্রিকা তিনি সম্পাদনা করেছেন ১৮৪৩ - ১৮৫৫ মোট ১২ বছর। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সমাজ সংস্কার ও জনশিক্ষা প্রসারিত করার কর্মকাণ্ডের সাথে তাঁর সমর্থন, সহযোগিতা, যৌথ উদ্যোগ ও অন্তরন্গতা সুবিদিত। এই দুজনের সম্পর্ক ছিল মার্ক্স ও এঙ্গেলসের মত, পরস্পরের পরিপূরক। মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই তিনি স্নায়ুরোগের শিকার হয়ে বাকি জীবন অসুস্থতার সাথেও যুদ্ধ করেছেন । কিন্তু আমৃত্যু তিনি সৃজনশীলতায় ব্যাপৃত থেকে সৃজনের অনেক স্বাক্ষর রেখে গেছেন। অক্ষয় কুমার দত্ত বাংলা নবজাগরণ ও বিজ্ঞানবদ্ধ জীবনবোধের অন্যতম অগ্রদূত। তাঁর কথায় "অখিল সংসারই আমাদের ধর্মশাস্ত্র। বিশুদ্ধ জ্ঞানই আমাদের আচার্য"।