Quick Query
News & Announcement
২৩শে জানুয়ারি সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনী সমিতির আয়োজনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬ তম জন্মদিন স্মরণে একটি মনোজ্ঞ ওয়েবিনার সংগঠিত হয়েছে। প্রারম্ভিক বক্তব্যে সম্পাদক তাপস চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজধানীতে ইন্ডিয়া গেট সংলগ্ন এলাকায় নেতাজির পূর্ণাঙ্গ মূর্তি স্থাপন করার যে সিদ্ধান্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করছেন, সেটাতে সমিতির আবেদন মান্যতা পেল। সমিতি গত ৩০শে জুন এই আবেদন জানিয়ে এবং নেতাজির পূণ্য জন্মদিনটিতে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। সমিতি আশা করে দেশের আপামর মানুষের আকাঙ্খাকে সন্মান দিয়ে ভারত সরকার জাতীয় ছুটির আবেদনটি বাস্তবায়িত করবেন।
আলোচনা সভার প্রথম বক্তা অধ্যাপক আনন্দ গোপাল ঘোষ নেতাজির মহানিষ্ক্রমনের আগে ও পরে তাঁর কর্মবহুল ও বর্ণময় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো বিশ্লেষণ করেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম তিন দশক যাবৎ সুভাষচন্দ্র বসুর সাথে মহাত্মা গান্ধী ও কংগ্রেসের মতাদর্শগত বিরোধ তাঁকে বিকল্প পথে স্বাধীনতা অর্জনের সন্ধান করতে বাধ্য করেছিল। জার্মানি, জাপান, রাশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশে দেশে বসবাসের মধ্যে দিয়ে নেতাজির পরিচালনায় আজাদ হিন্দ বাহিনীর গঠণ ও প্রথমে আন্দামান ও পরে নাগাল্যান্ড হয়ে মণিপুর পর্যন্ত এই বাহিনীর অভিযানের প্রসঙ্গ ড: ঘোষ বিধৃত করেন।
পরবর্তী বক্তা ড: মলয় শন্কর ভট্টাচার্য তাঁর ভাষণে নেতাজির সাথে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিবিড় সম্পর্কের দিকে আলোকপাত করে বলেন, এই ভাব বিনিময় নেতাজির মননে জাতীয়তাবাদ এবং আন্তর্জাতিকতার সমন্বয়ের আদর্শ সন্চারিত করেছিল। কংগ্রেসের নেতৃত্বের সাথে বিভিন্ন প্রশ্নে বিরোধ নেতাজিকে বাধ্য করেছিল বৃটিশ বিরোধী আন্তর্জাতিক শক্তির সাহায্য নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে বিপ্লবী ঝড় তুলতে। ভারতের মাটিতে জাতীয় পতাকা তিনিই প্রথম তুলেছিলেন আন্দামানের রস আইল্যান্ডে ( এখন নাম : নেতাজি দ্বীপ ) ও পরে মণিপুরে। মণিপুরের বৃটিশ বাহিনীর সাথে দ্বিতীয় পর্যায়ে যুদ্ধে আজাদ হিন্দ বাহিনীর পরাজয় ঘটেছিল কারন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পর্যুদস্ত জাপানের পক্ষে তেমন সহায়তা করা সম্ভব হয় নি। এমনটা না হলে ভারতের ইতিহাস অন্য পথে পরিচালিত হত।
এর পরে কিছু আলোচনা সহ প্রশ্ন ও উত্তর পর্বে অংশ নিয়েছেন ড: সুবোধ রায়, রাজশ্রী দত্ত, ড: নীলাংশু শেখর দাস, ড: সুমন বিশ্বাস প্রমুখ। সভায় দেশ বিদেশের ৬০ জন প্রাক্তনী সমিতির সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সভা পরিচালনা করেন প্রাক্তনী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড: তাপস চট্টোপাধ্যায়।