Quick Query
News & Announcement
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনী সমিতির ব্যবস্থাপণায় ২৬শে সেপ্টেম্বর, পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০১ তম জন্মদিন উপলক্ষে একটি মনোগ্রাহী ওয়েবিনার আয়োজিত হল। প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সন্চালক এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড: তাপস চট্টোপাধ্যায়। তিনি বর্তমান সময়ে বিদ্যাসাগরের প্রাসন্গিকতা, বিশেষ করে বাংলা ভাষায় শিক্ষা প্রসারের জন্য তাঁর অবদান ও ত্রিভাষা সূত্রের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। বিগত ১৩০ বছর যাবৎ ক্রমাগত বিদ্যাসাগরের মূর্তি এবং তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপপ্রয়াসের দিকটি তিনি তুলে ধরেন। মুখ্য আলোচক ছিলেন দুজন প্রাক্তনী। অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও সন্মানিত ইতিহাসবিদ ড: আনন্দ গোপাল ঘোষ। বিদ্যাসাগরের জীবনকালে ও পরবর্তী বিগত এক শতকেরও বেশি সময়কালে, বাংলার বাইরে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশের সারস্বত সমাজে বিদ্যাসাগর সম্পর্কে বিস্তারিত চর্চা এবং সামাজিক ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে তাঁর সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রসঙ্গত কুচবিহারের রাজপরিবারের সাথে বিদ্যাসাগরের যোগাযোগ বিষয়ে কিছু অজানা তথ্য এবং তৎকালীন উত্তরবঙ্গে তাঁর সামাজিক সংস্কার ও নারী শিক্ষার সংগ্রামের প্রত্যক্ষ প্রভাব তিনি উল্লেখ করেন। দ্বিতীয় বক্তা প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও লেখক ড: মলয় শন্কর ভট্টাচার্য সমকাল ও উত্তরকালে বিদ্যাসাগরের চর্চা, অধ্যয়ন, প্রাসন্গিকতা এবং তাঁকে নিয়ে কোন কোন অতিবাম চিন্তকদের বিভ্রান্তিকর বিতর্কের অব্যাহত অপচেষ্টা নিয়ে গবেষণামূলক আলোচনা করেন। বাংলা নবজাগরণকে ভারতের নবজাগরণে বিস্তৃত করার ক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্রের অবদান তিনি তুলে ধরেন। বক্তাদের সাথে প্রশ্ন - উত্তর সহ মতবিনিময় পর্ব চলে এক ঘন্টারও বেশি সময়। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমিতির সভাপতি ড: সীতাংশু বিমল করন্জাই।